কেন ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ? ‘জবাব’ দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন

বেসরকারিকরণ নিয়ে ব্যাঙ্ককর্মীদের ‘উদ্বেগ’ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী!

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, সমস্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করা হবে না। পাশাপাশি যে ব্যাঙ্কগুলি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে, সেগুলির কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা হবে।

কেন ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ?

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেসরকারিকরণ নিয়ে ব্যাঙ্ককর্মীদের ‘উদ্বেগ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তটি একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য ব্যাঙ্কগুলির ইক্যুইটি বাড়ানো। তাদের আর্থিক ভাবে স্বাবলন্বী করে তোলা এবং পরিষেবার মান বাড়ানো। আমরা দেশের লক্ষ্য পূরণে ব্যাঙ্কগুলিতে পাশে পেতে চাই”।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগ্নিকরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সামগ্রিক পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের সময়সীমা হিসেবে ২০২২ আর্থিক বছরকে স্থির করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নির্মলা বলেন, যে সমস্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলির কর্মীদের স্বার্থরক্ষা নিশ্চিত করার কাজ চালিয়ে যাবে সরকার।

তাঁর কথায়, “বেসরকারিকরণের সম্ভাব্য ব্যাঙ্কের কর্মীদের স্বার্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে – তাঁদের বেতন, স্কেল বা পেনশন সমস্ত বিষয়েই যত্ন নেওয়া হবে”।

পর পর দু’দিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘট

ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সংস্কার এবং বেসরকারিকরণের কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের বিরোধিতায় সোম এবং মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ ‘ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন’ (ইউএফবিইউ) ব্যাঙ্ক ধর্মঘট পালন করেছে। ন’টি ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের ১০ লক্ষেরও বেশি ব্যাঙ্ক কর্মী সদস্য এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।

গত শনিবার এবং রবিবার এমনিতেই ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। তার পরে সোমবার এবং মঙ্গলবার ধর্মঘটের কারণে ব্যাহত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। টানা চার দিন ধরে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রভাবিত হওয়ায় এটিএম এবং ব্যাঙ্কের শাখা থেকে টাকা তোলা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

আরও পড়তে পারেন: ২০০০ টাকার নোট এখন কেন কম দেখা যায় জানেন? জেনে নিন সরকার কী বলছে

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.