অযোধ্যা মামলার রায় ভারতীয় অর্থনীতি এবং বাজারের জন্য কতটা ইতিবাচক?

Ayodhya verdict

ওয়েবডেস্ক: শনিবার অযোধ্যার বিতর্কিত জমি বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। এ দিন শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, বিতর্কিত জমির সম্পূর্ণ অংশ পাবে হিন্দুরা। অন্য দিকে মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে। এই রায়ের পরই অর্থনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, ভারতীয় অর্থনীতি এবং বাজারের পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এই রায়ের।

শনিবার বাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এক শতাব্দী পুরনো বিরোধের অবসান ঘটিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের প্রভাব অর্থনীতির জন্য এবং সাধারণভাবে বাজারের পক্ষে ভালো হবে। কারণ, এটি দেশের রাজনীতি ও নীতি নিয়ে একটি বড়ো অনিশ্চয়তা দূর করেছে।

তাঁদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভারতীয় অর্থনীতির প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। কে আর চোকসি ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার্সের এমডি দেবেন চোকসি বলেন, “বাজার অবশ্যই এই রায়কে খুব ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করবে। দেশকে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা আমাদের দেশের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রচুর আস্থা তৈরি করবে”।

মুম্বই-ভিত্তিক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ বিজয় কেডিয়ার বক্তব্য, ভারতীয় অর্থনীতিতে বড়োসড়ো ভূমিকা পালন করে উত্তরপ্রদেশ। ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছাতে হলে উত্তরপ্রদেশের সহযোগী অংশীদারিত্ব থাকতে হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। তাঁর মতে, মন্দির ও মসজিদ নির্মাণ নিশ্চিত করেছে তখন পর্যটন ব্যবসা নতুন ভোরের জন্য অপেক্ষা করছে। আশা করা যায়, এর পরে ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি বাড়তি পর্যটক ভিড় জমাতে পারেন উত্তরপ্রদেশে। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের পর্যটন ব্যবসার সুদিন আসতে চলেছে।

তাঁর মতে, “বৈষ্ণোদেবীর মতোই অযোধ্যা সারা দেশ তো বটেই দেশের বাইরের পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। এমনটাও হতে পারে প্রাকৃতিক অবস্থানের নিরিখে ভবিষ্যতে অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রকে পিছনে ফেলতে পারে অযোধ্যা”।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মুডি’র ক্রেডিট রেটিংয়ের রিপোর্টে ভারতের অবস্থান নিম্নমুখী হওয়ায় ইক্যুইটি বেঞ্চমার্ক বিএসই সেনসেক্স ৩৩০ পয়েন্ট পতনের মুখোমুখি হয়েছিল। দু’দিন বাদে আগামী সোমবার বাজার খুললে কিছুটা হলেও অযোধ্যা রায়ের প্রভাব পড়তে পারে শেয়ার বাজারে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.