আদানি গোষ্ঠী ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করতেই শেয়ারবাজারে ভোলবদল!

মার্কিন অভিযোগ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা ও ভুল রিপোর্টিংয়ের দাবি করে ঘুষের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে আদানি গোষ্ঠী। তাদের বক্তব্য, মার্কিন বিচার বিভাগের অভিযোগপত্রে কোনও প্রমাণ নেই যে ঘুষ বিনিময় হয়েছে।

অদানি গ্রিন বুধবার শেয়ারবাজারে জানায়, গৌতম আদানি, তাঁর ভাইপো সাগর আদানি এবং সিনিয়র কার্যনির্বাহী বীনীত জৈন- এই তিনজনের বিরুদ্ধে কোনও ঘুষের অভিযোগ নেই। এই বিবৃতির পরে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার মূল্য দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

মার্কিন অভিযোগপত্রে পাঁচটি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু প্রথম এবং পঞ্চম অভিযোগ- যা মূলত বিদেশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন (FCPA) লঙ্ঘন এবং ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেখানে গৌতম আদানি বা তাঁর ভাইপোর নাম নেই।

আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, ভিত্তিহীন এই অভিযোগ এবং ভুল রিপোর্টিংয়ের ফলে তাদের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বাতিল, আর্থিক ক্ষতি এবং কৌশলগত অংশীদারদের কাছ থেকে হঠাৎ চাপের মতো বড় ক্ষতি হয়েছে।

এর আগে গোষ্ঠীর চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার জুগেশিন্দর সিং পরিষ্কার করে বলে দিয়েছিলেন, তাঁদের ১১টি তালিকাভুক্ত সংস্থার মধ্যে কোনওটির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।

সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহতগি আজ সকালে জানান, মার্কিন অভিযোগপত্রে অদানি গোষ্ঠীর তিন পরিচালকের বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, “যখন কোনও অভিযোগপত্র তৈরি হয়, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে কে কী অপরাধ করেছে। কিন্তু এখানে কোনও নাম বা ঘুষের প্রমাণ নেই।”

আর এক সিনিয়র আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি বলেন, এই অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেস রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেশি মাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তিনি জানান, “যদি কংগ্রেসের কাছে কোনও প্রমাণ থাকে, তা হলে তা প্রকাশ্যে আনুক। নয়তো কোনও তদন্তের প্রয়োজন নেই।”

চলতি সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ফের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। এর পরই তারা জানিয়েছে, গোষ্ঠীর বৃদ্ধি বজায় রাখতে তাদের বাইরের ঋণের প্রয়োজন নেই।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.