দেশে আধার কার্ড ই-কেওয়াইসি-তে ব্যাপক বৃদ্ধি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আধার ই-কেওয়াইসি ২৮.৭৫ কোটি অতিক্রম করেছে, যা নভেম্বর মাসে মাসিক ভিত্তিতে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ, এর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৩৫০.২৪ কোটি।
ব্যাপক ব্যবহৃত হচ্ছে আধার ই-কেওয়াইসি
ই-কেওয়াইসি ছাড়াও আধার অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে করা লেনদেনের ক্ষেত্রেও চওড়া বৃদ্ধি ধরা পয়েছে। যা মাসিক ভিত্তিতে ১১ শতাংশ বেড়ে ১৯৫.৩৯ কোটিতে পৌঁছেছে।
বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, সারা দেশেই আধার ব্যবহারের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। নাগরিকরা এই ব্যবস্থা ব্যবহারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। শুধুমাত্র নভেম্বরেই, আধার ব্যবহার করে ২৮.৭৫ কোটি ই-কেওয়াইসি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের নভেম্বরের শেষ নাগাদ, ই-কেওয়াইসি-র মাধ্যমে মোট লেনদেনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৩৫০.২৪ কোটি।
মন্ত্রক জানিয়েছে, ব্যাঙ্কিং এবং নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে আধার ই-কেওয়াইসি। এই পদ্ধতি পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও বেশি স্বচ্ছ করতে সাহায্য করছে। আধার ই-কেওয়াইসি করার জন্য একটি পৃথক প্রক্রিয়া রয়েছে, যেখানে আধার ধারককে নিজেই অথেন্টিকেশন করতে হয়। বর্তমান সময়ে, নতুন গ্রাহক যোগ করতে টেলিকম, ফিনটেক এবং ব্যাঙ্কগুলি ই-কেওয়াইসি-র বৃহৎ পরিষেবা ব্যবহার করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের ১১০০টিরও বেশি প্রকল্পে আধার ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভাগগুলি সুবিধাভোগীদের সনাক্ত করতে এই ই-কেওয়াইসি ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।
কী এই আধার ই-কেওয়াইসি
আধার ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি হল একটি ইলেকট্রনিক এবং ১০০ শতাংশ কাগজবিহীন প্রক্রিয়া যা কোনো ব্যক্তির আধার নম্বর ব্যবহার করে তাঁর কেওয়াইসি পক্রিয়া রসম্পূর্ণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আধার কার্ড ধারককে নথির একাধিক কপি জমা দিতে হবে না। এটি প্রতারণা এবং চুরির সম্ভাবনাও হ্রাস করে।
আরও পড়ুন: এক কেওয়াইসিতে যে কোনও ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে, শীঘ্রই নয়া ব্যবস্থা চালু হচ্ছে রাজ্যে