বিবিডেস্ক: বেশ কয়েকটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কারণের প্রভাবে ভারতীয় ইক্যুইটি মার্কেটে দেখা দিয়েছে উচ্চতর অস্থিরতার। এই অস্থিরতা নির্ণায়ক সূচক এনএসই ভিক্স বা ভোলাটিলিটি ইনডেক্স গত ২০১৮ সালে ছিল ১৫.০৭, কিন্তু এ বার ২০১৯ সালে তা বেড়ে ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৭.৩৪।
একই ভাবে গত বছরে স্টক মার্কেটের ৭১ শতাংশ সংস্থা ৫০০ কোটি টাকার বেশি বাজারি মূলধন হারিয়েছিল কিন্তু চলতি ২০১৯-এ তা বেড়ে হয়েছে ৭৫ শতাংশ। গত ২৫ জুলাই ২০১৮ থেকে ২৫ জুলাই ২০১৯-এর মধ্যে বিএসই সেনসেক্সে এই ছবি স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই ইক্যুইটিতে বিনিয়োগকারীরা বাজারের দ্বারা নিজেদের উপেক্ষিত বলেই মনে করছেন। কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালিত মোট সম্পত্তিতে (এইউএম) ইক্যুইটি-ভিত্তিক প্রকল্পগুলির অংশ গত জুনে মাসে ৪২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জুন ২০১৮ সালে ৪১.২ শতাংশ ছিল। পরিসংখ্যান বলছে, খুচরো এবং এইচএনআই বিনিয়োগকারীরা ইক্যুইটি-ভিত্তিক প্রকল্পগুলিতে প্রায় ৮৮ শতাংশ অবদান রেখেছেন। যে কারণে গত ২০১৮-র জুন মাসে যেখানে এসআইপি-তে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৭,৫৫৪ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৯-এ তা ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ঠেকেছে ৮,১২২ কোটি টাকায়।
এই তথ্য-পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। তবে বিনিয়োগের আগে ঝুঁকির কারণগুলি অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া দরকার। রাজস্ব, উপার্জন এবং নগদ প্রবাহের মতো মৌলিক বিশয়গুলির উপর ভিত্তি করে কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের অতীতের মান যাচাই করা সম্ভব।
এ কথা ঠিক কোনো ফান্ডের ওঠানামা কখনোই স্থির মাত্রায় হয় না। ফলে অতীত রেকর্ড ঘেঁটে কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণও বেশ শক্ত। কিন্তু নির্ভরযোগ্যর প্রশ্নে কোনো রকমের আপস না করাই ভালো।
কোনো বিনিয়োগকারী যদি ডেট ফান্ডে লগ্নির কথা ভাবেন, তা হলে সেটা অনেকটাই নিরাপদ। সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সুদ কোন পথে হাঁটতে পারে, সে সম্পর্কে যদি লগ্নিকারীর ধারণা থাকে তা হলে সেই লগ্নির মেয়াদ ঠিক করার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। সাধারণ নিয়মে বাজারে সুদের হার বাড়লে ঋণপত্রের দাম কমে। আর সুদ কমলে ঘটে ঠিক উল্টোটা। অর্থাৎ, সুদ বাড়লে কম টাকা লগ্নি করেই আগের দামের বন্ড কেনা সম্ভব। এর প্রভাব পড়ে ডেট ফান্ডের উপরেও।
তবে ডেট ফান্ডেও রয়েছে ১৬টি শ্রেণি। ওই শ্রেণিগুলির উপর নির্ভর করে থাকে সংস্থার লগ্নি পুনর্গঠন। স্বাভাবিক ভাবেই খোঁজ নিতে হবে বিশদে।
পড়তে পারেন: দিওয়ালিতে আলোকিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে Tata Capital থেকে Mahindra Finance
মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক কঠিন শব্দ। যা সাধারণ বিনিয়োগকারীর পক্ষে অনেক সময়ই দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।