আকাশছোঁয়া দাম, ডিসকাউন্টেও মিলছে না ক্রেতা, জোড়া ইলিশ ছাড়াই এবার লক্ষ্মী আরাধনা?

hilsa fish

নিজস্ব প্রতিনিধি :  মায়ের পর এবার মেয়ের আরাধনায় ব্যস্ত বাঙালি। তবে শুধু কি ধুপ-ধুনো চন্দনে অর্থের দেবীকে ঘরে তোলা যায়? ধনের দেবী লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে ফল-মূল, ভোগ-প্রসাদের পাশাপাশি অনেকে জোড়া ইলিশও দিয়ে থাকেন। তবে সাধ থাকলেও সাধ্যের বাইরে ইলিশের দাম। পুজোর বাজার করতে বেরিয়ে ইলিশ কিনতে গিয়ে তাই মাথায় হাত পড়ছে সকলের। ১ কেজি ইলিশের দাম উঠেছে ১৬০০ টাকা। ন্যূনতম  ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম পড়ছে প্রায় ১২০০ টাকা প্রতি কেজি।

শুক্রবার থেকেই কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ইলিশের দাম চড়া। লেক মার্কেটের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘এ বার যা পরিস্থিতি তাতে সাধারণ পরিবারগুলি লক্ষ্মী পুজোয় ইলিশ মাছ কিনবে কি না সন্দেহ।’’

হাওড়া মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘‘এবছর ইলিশের যোগান হয়নি বললেই চলে। বাংলাদেশ থেকে যে পরিমান ইলিশ এসেছিল তা পুজো এবং গত ১০ তারিখের মধ্যে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে এখন যেটুকু লোকাল মাছ আছে তা চড়া দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই ব্যবসায়ীদের।’

 জোড়া ইংলিশ এর ক্ষেত্রে প্রতিবছরই লক্ষ্মীপুজোয় বেশ ডিসকাউন্ট দিয়েছেন বলে দাবি করেন সখের বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী। এ বছর তাতে খুব একটা সুবিধা হয়নি। দাম শোনার পর সকাল থেকে গ্রাহকরা ফিরে গেছেন বলেও জানান তিনি।

মন্দার বাজারে তাই ইলিশ কিনতে পকেটে টান পড়া মধ্যবিত্ত বাঙালিকে বাতিল করতে হচ্ছে মাকে ইলিশ নিবেদনের পরিকল্পনা। কিন্তু, অনেকে আবার ঘরের চিরাচরিত পুজোর রীতিতে মা লক্ষ্মীর সামনে জোড়া ইলিশ দেওয়ার নিয়ম বদলাতে না পেরে অন্য বাজেটে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন। বাজেট কেটে ছোট প্রতিমা, শাক সবজি এবং ফুলের পরিমাণ কমিয়ে ফেলছেন অনেকে। কোনওরকম নমো নমো করে পুজো সারবেন বলে এই বাজারে নিমন্ত্রণের লিস্টও কেটে ছোটো করে ফেলছে বাঙালি।

ছবি: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.