ক্রেডিট কার্ডের বিল দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা মিস করলে বকেয়া টাকার উপর উচ্চ হারে সুদ দিতে হয়। এই সুদের হার প্রতি মাসে সাধারণত ২.৫ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। সুদের হিসাব মূলত লেনদেনের তারিখ থেকে শুরু হয়, অর্থাৎ বিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর থেকে নয়। কারণ, ৪৫ দিনের যে সুদমুক্ত সময়সীমা রয়েছে তা শুধু সময়মতো পেমেন্ট করলে প্রযোজ্য হয়।
তাই, যদি আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মতো পরিশোধ না করেন, তবে সুদের হিসাব লেনদেনের তারিখ থেকে শুরু হয়ে যাবে। বিভিন্ন ব্যাংক এই সুদের হার নির্ধারণ করে কার্ডের ধরন, গ্রাহকের ক্রেডিট রেটিং, এবং প্রমোশনাল অফার অনুযায়ী।
নিচে শীর্ষ ৭টি ব্যাংকের সুদের হার সম্পর্কে জানানো হলো:
১. এইচডিএফসি ব্যাংক: এই ব্যাংক প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩.৪ শতাংশ সুদ ধার্য করে, সঙ্গে থাকে লেট পেমেন্ট চার্জ। বিস্তারিত জানতে এইচডিএফসি ব্যাংকের ওয়েবসাইট দেখুন।
২. আইসিআইসিআই ব্যাংক: ICICI Bank সর্বাধিক ৩.৭৫ শতাংশ মাসিক সুদ ধার্য করে, এর পাশাপাশি থাকে লেট পেমেন্ট চার্জ। আরও তথ্যের জন্য আইসিআইসিআই ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
৩. কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংক: কোটাক ব্যাংক ৩.৫ শতাংশ মাসিক সুদ (বা ৪২ শতাংশ বার্ষিক) ধার্য করে, এছাড়াও লেট পেমেন্ট চার্জ রয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
৪. ইয়েস ব্যাংক: Yes Bank প্রতি মাসে ৩.৮০ শতাংশ (বা ৪৫.৬ শতাংশ বার্ষিক) সুদ ধার্য করে। বিস্তারিত জানার জন্য ইয়েস ব্যাংকের ওয়েবসাইট দেখুন।
৫. এসবিএই কার্ড: SBI কার্ড মাসে ৩.৫০ শতাংশ (বা ৪২ শতাংশ বার্ষিক) সুদ ধার্য করে, যা SBI কার্ড সার্ভিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। আরও তথ্যের জন্য SBI কার্ড ওয়েবসাইট দেখুন।
৬. পিএনবি: পিএনবি ক্রেডিট কার্ডের উপর মাসিক ২.৯৫ শতাংশ সুদ (বা ৩৫.৮৯ শতাংশ বার্ষিক) ধার্য করে। বিস্তারিত জানতে PNB-র পোর্টালে যোগাযোগ করুন।
৭. অ্যাক্সিস ব্যাংক: Axis Bank প্রতি মাসে ৩.৬ শতাংশ সুদ ধার্য করে। আরও তথ্যের জন্য অ্যাক্সিস ব্যাংকের ওয়েবসাইট দেখুন।
প্রতিটি ব্যাংকের সুদের হার এবং চার্জ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেরিতে বিল পরিশোধ করলে উচ্চ সুদের জন্য আর্থিক ঝুঁকি বাড়তে পারে।