বিবি ডেস্ক : গত এপ্রিল মাসেই বিশ্বব্যাঙ্ক ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিল ৭.৫শতাংশ। ছ’মাসের মধ্যেই সেই বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনল তারা।
যদিও বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক প্রকাশিত দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত একটি একটি আর্থিক রিপোর্টে আশা করা হয়েছে ধারাবাহিক ভাবে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হবে। ২০২১ সালের মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মধ্যে ৭.২ শংতাশে গিয়ে পৌঁছবে বলে মনে করা হয়েছে।
এই সপ্তাহেই বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার-এর বার্ষিক বৈঠক রয়েছে। তার ঠিক আগেই এই আর্থিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাঙ্কের পর্যবেক্ষণ, ২০১৯ সালের প্রথমদিকে ভারতের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের দুর্বলতা উল্লেখযোগ্য ভাবে নজরে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই নিম্নমুখী অর্থনীতিতে বেশ কিছু পরিকাঠামোগত সমস্যা সামনে এসেছে।
কোন পথে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে?
কেন পথে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে তার বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এরমধ্যে রয়েছে আর্থিক ক্ষেত্রগুলিকে শক্তিশালী করা। পাবলিক সেকটর ব্যাঙ্ককে পরিচালন ব্যবস্থাকে সংস্কারের মাধ্যমে এই কাজ করা যেতে পারে। এর সঙ্গে বিভিন্ন নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানিগুলিকে নিয়ন্ত্রণের পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
ভারতের চেয়ে দ্রুত বাড়বে নেপাল ও বাংলাদেশের অর্থনীতি
বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভারতের তুলনায় প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। অন্য প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও নিম্নগামী হয়ে ২.৪ শতাংশে ঠেকতে পারে বলে রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের বৃদ্ধি ২০১৮ সালের ৭.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে চলতি অর্থবছরে ৮.১ শতাংশে পৌঁছতে পারে।
অন্যদিকে পর্যটন ব্যবসার উল্লেখযোগ্য ভাবে অগ্রগতি এবং সরকারি উন্নয়নমূলক কার্যকলাপের জেরে চলতি বছরে নেপালের আর্থিক বৃদ্ধি নজরকাড়ার মতো। ২০১৯ সালে নেপারে আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ এবং পরের বছর আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক নিম্নগতিকে সামাল দিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ একাধিকবার বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। একাধিক পদক্ষপেও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিশ্বব্যাঙ্কের এই রিপোর্ট নরেন্দ্র মোদী সরকারের কপালে ভাঁজ ফেলবে।