কেন কলকাতায় ব্যবসা শুরু করার আদর্শ পরিবেশ রয়েছে

kolkata

রূপসা ঘোষাল:  সহজেই ব্যবসা শুরু করার জন্য সামগ্রিকভাবে আদর্শ পরিবেশ রয়েছে কলকাতায়। অন্য কেউ নয়, এই বক্তব্য খোদ ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তরফে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ রিপোর্টে এবার দেশের মধ্যে দিল্লি ও মুম্বইয়ের পাশাপাশি কলকাতাকেও যুক্ত করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চোখে সহজে ব্যবসা করার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়েছে এই শহর। যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে একটি ব্যবসা শুরু করা এবং সহজেই সেটাকে পরিচালনা করা।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই খুশি এ শহরের ছোট-বড় উদ্যোক্তারা। ডিজিটাল মাধ্যম এবং স্টার্ট আপে কলকাতা এখন অনেকটাই এগিয়ে বলেই মনে করছেন তারা। কম পুঁজি নিয়েও সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একাধিক নজির রয়েছে এখানে। ম্যানেজমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীরাও তাঁদের নানাবিধ বুদ্ধি নিয়ে এগিয়ে আসছে ব্যবসার জগতে।

তবে শুধু মাত্র উদ্যোগ এবং বুদ্ধিই নয়, বেশিরভাগ উদ্যোগতারাই মনে করছেন কলকাতায় ব্যবসা শুরু করার জন্য রয়েছে আদর্শ পরিবেশ।

কী ধরনের পরিবেশ?

এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন তারা জানিয়েছেন,

১। ব্যবসার অনুমোদন,

২। প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ

৩। সহজে  ঋণ পাওয়ার সুবিধা

৪। ট্যাক্স দেওয়ার পদ্ধতি

 ৫। আন্তরাজ্যে পণ্য পরিবহনের সুবিধা

তাই ব্যবসা শুরু করাটা এখানে সত্যিই সহজ।

নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করতে কত দ্রুত ছাড়পত্র পাওয়া, করের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ-যোগাযোগ-সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর কী অবস্থা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সেই অঞ্চলের বাণিজ্যিক  সম্পর্ক ঠিক কীরকম ইত্যাদি নানা মাপকাঠির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই তালিকা। সেক্ষেত্রে কলকাতা যে খুব যোগ্য শহর হিসেবেই স্থান করে নিয়েছে সে বিষয়ে দ্বিমত নেই বাণিজ্য মহলে।

কলকাতার পাশাপাশি এই তালিকায় স্থান পেয়েছে অপর গুরুত্বপূর্ণ শহর বেঙ্গালুরু। বিশ্ব ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মতো বড় দেশে শুধুমাত্র দুটি শহরের তথ্য নিয়ে ব্যবসার পরিবেশ বোঝা মুশকিল। তাই এবার সেই শহরের তালিকায় যোগ করা হচ্ছে দক্ষিণের বেঙ্গালুরু এবং পূর্বের কলকাতাকে। ১৯০টি দেশের মধ্যে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়। বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে নতুন দুই শহরের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ইতিমধ্যেই। আগামী বছরের রিপোর্টেই কলকাতা এবং বেঙ্গালুরুর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাঙ্কের এই সূচকে গত ২০১৮ সালে ভারতের র‌্যাঙ্কিং ছিল ১০০তম স্থানে। পরের বছর ২৩ ধাপ এগিয়ে ৭৭-এ উঠে আসে ভারত।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.