এই ৯টি গোল্ড ইটিএফ গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৭% রিটার্ন দিয়েছে, বিনিয়োগের বিবরণ জেনে নিন

এই দীপাবলিতে যদি ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগের কথা ভাবেন, তবে আপনার জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড, গোল্ড ইটিএফ এবং গোল্ড বন্ড। যেহেতু সরকার গোল্ড বন্ড বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে, তাই বিনিয়োগকারীরা গোল্ড ইটিএফ এবং গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডের দিকে ঝুঁকতে পারেন।

বর্তমানে বাজারে মোট ১৭টি গোল্ড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) রয়েছে, যেগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ (AUM) ৩৯,৮২৩ কোটি টাকা। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ১,২৩৩ কোটি টাকা নতুন সম্পদ হিসেবে যোগ হয়েছে। তবে অন্যান্য স্কিমের তুলনায় এই সংখ্যা তেমন বড় নয়। উদাহরণস্বরূপ, ‘ইন্ডেক্স ফান্ড’ বিভাগে ২৪৩টি স্কিম রয়েছে, যেগুলোর মোট সম্পদ ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা।

গোল্ড ইটিএফ-এর তুলনামূলক কম জনপ্রিয়তার কারণগুলোর মধ্যে একটি হল, এগুলিতে বিনিয়োগ করতে বিনিয়োগকারীদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়, যা অন্যান্য মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না।

২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর অনুযায়ী, ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৭,৯৯৬ টাকা প্রতি গ্রাম এবং ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৭,৩৩১ টাকা প্রতি গ্রাম।

শীর্ষ গোল্ড ইটিএফ এবং তাদের ১ বছরের রিটার্ন

গত বছর থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে প্রায় সব প্রধান গোল্ড ইটিএফ। সোনার দামও গত দীপাবলির তুলনায় প্রায় ২৮ শতাংশ বেড়েছে, যা এই ইটিএফগুলির রিটার্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

১ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রিটার্ন দেওয়া গোল্ড ইটিএফ-এর তালিকা নিচে দেওয়া হল (অক্টোবর ২৮, ২০২৪ অনুযায়ী):

  • আদিত্য বিড়লা সান লাইফ গোল্ড ইটিএফ: ২৭.০৩%
  • অ্যাক্সিস গোল্ড ইটিএফ: ২৬.৩১%
  • ডিএসপি গোল্ড ইটিএফ: ২৬.৯০%
  • এইচডিএফসি গোল্ড ইটিএফ: ২৫.৫৩%
  • আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল গোল্ড ইটিএফ: ২৭.১৪%
  • ইনভেসকো ইন্ডিয়া গোল্ড ইটিএফ: ২৬.২৭%
  • কোটাক গোল্ড ইটিএফ: ২৭.০৮%
  • এলআইসি এমএফ গোল্ড ইটিএফ: ২৬.৫৮%
  • মিরায় অ্যাসেট গোল্ড ইটিএফ: ২৭.০৭%

বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ

গোল্ড ইটিএফগুলো বিশেষত তাঁদের জন্য উপযুক্ত, যাঁরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী এবং বাজারের ওঠানামায় খুব বেশি বিচলিত হন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দাম বৃদ্ধি এবং বাজারের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আগামী সময়ে এই ধরনের ডিজিটাল গোল্ড স্কিমগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.