যদি আপনার লক্ষ্য হয় দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ সঞ্চয়, তাহলে মনে রাখতে হবে—বিনিয়োগে স্থির থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগের আগে একটি নির্দিষ্ট মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমের আগের রিটার্ন দেখা অনেক বিনিয়োগকারীর সাধারণ অভ্যাস। এই আগের রিটার্ন একটি ধারণা দেয়, স্কিমটি ভবিষ্যতে কেমন পারফরম্যান্স দিতে পারে। যেমন, কোনও ইকুইটি স্কিম যদি অতীতে কম রিটার্ন দিয়ে থাকে, ভবিষ্যতে তার বড় মুনাফার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
যদিও আগের রিটার্ন ভবিষ্যতের লাভের নিশ্চয়তা দেয় না, তবুও এটি বিনিয়োগকারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়াও ফান্ড হাউসের সুনাম, ফান্ড ম্যানেজারের পুরনো পারফরম্যান্স এবং ফান্ডের ক্যাটাগরিও বিবেচ্য।
এখানে উদাহরণ হিসাবে “Quant Infrastructure Fund”-এর ager পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে। এটি একটি সেক্টোরাল ফান্ড, যা ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে চালু হয়েছিল। এর মোট অ্যাসেট সাইজ ৩,১৫৮ কোটি। এই স্কিমের বেঞ্চমার্ক সূচক হলো Nifty Infrastructure TRI।
এই স্কিমে যেসব কোম্পানির স্টক রয়েছে, সেগুলি হল—এল অ্যান্ড টি, আরআইএল, টাটা পাওয়ার, আইটিসি, আফকনস ইনফ্রা, সমবর্ধনা মাদারসন, এলআইসি, কল্যাণী স্টিলস, আদানি পাওয়ার এবং ওএনজিসি।
অতীত রেকর্ড অনুযায়ী, কেউ যদি প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা করে SIP মারফত এই স্কিমে বিনিয়োগ করতেন, তাহলে ১.২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তা কমে দাঁড়াত ১.০৫ লক্ষ টাকা।
তিন বছরে প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা করে মোট ৩.৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে তা বেড়ে হতো ৪.৫ লক্ষ। পাঁচ বছরে ১০,০০০ করে প্রতি মাসের বিনিয়োগে ৬ লক্ষ খাটিয়ে আপনি পেতেন ১১.৭৮ লক্ষ টাকা।
আর সাত বছরে একইভাবে ৮.৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে তা বেড়ে দাঁড়াত ২১.৫৮ লক্ষ। স্কিম চালুর পর থেকে যদি কেউ ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসে ১০,০০০ বিনিয়োগ করতেন, তাহলে ১৮ বছরে ১৪.৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে তা বেড়ে দাঁড়াত ৯০ লক্ষ টাকা।
তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিনিয়োগের আগে সঠিক বিশ্লেষণ এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।