এই ৫টি উপায়ে আপনি আয়কর বাঁচাতে পারেন, জানুন বিস্তারিত

Income Tax

বাংলা বিজ ডেস্ক: কষ্টার্জিত অর্থের উপর যখন আয়কর দেওয়ার প্রসঙ্গ চলে আসে, তখন বিভিন্ন ধরনের করমুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে তা এড়ানোর চেষ্টা নতুন কোনো বিষয় নয়।

এমন কিছু মাধ্যম রয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত আর্থিক ব্যয় অথবা বিনিয়োগে কর ছাড় পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই পাঁচটি মাধ্যমের কথা।

শুধু টিউশন নয়, প্রাক-নার্সারি ফিও পাওয়া যায়

করদাতারা প্রায় প্রত্যেকেই জানেন যে বাচ্চাদের টিউশন ফিতে কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে খুব কম লোকই জানেন, শিশু যদি প্লে স্কুল, প্রাক-নার্সারি এবং নার্সারিতে পড়াশোনা করে, তবে সেই ফি-এর উপরেও কর ছাড় পাওয়া যায়

এই পদ্ধতিটি ২০১৫ সালে চালু হয়েছিল। আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে আপনি সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। তবে, এই সুবিধাটি শুধুমাত্র দু’টি সন্তানে ফি-এর জন্য পাওয়া যায়। যদি যমজ হয়, তবে তিনটি পর্যন্ত শিশুর সুবিধা নেওয়া যেতে পারে।

নতুন বাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও ছাড় পেতে পারেন

নতুন বাড়ি কেনার সময় আপনাকে স্ট্যাম্প শুল্ক এবং রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে। আপনি যদি চাইলে এগুলির উপর ট্যাক্স ছাড়টি পেতে পারেন। এই সুবিধাটি ৮০সি ধারার অধীনে পাওয়া যায়। মনে রাখবেন যে আপনি যে বছর বাড়িটি কিনেছেন সেই একই আর্থিক বছরে আপনি এই ছাড়ের দাবি করতে পারেন।

পিতা-মাতার কাছ থেকে ঋণ

যদি আপনি কোনো কাজের জন্য বা বাড়ি কেনার জন্য আপনার বাবা-মায়ের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন এবং তাতে সুদ দিচ্ছেন, তবে আপনি তাঁদের প্রদত্ত সুদের উপরও আয়কর ছাড়ের সুবিধা নিতে পারেন। ২ লক্ষ টাকা অবধি এই ছাড়টি ধারা ২৪বি ধারার অধীনে পাওয়া যায়। আপনার কাছে অবশ্যই পিতা-মাতাকে সুদ দেওয়ার প্রমাণ থাকতে হবে।

বাবা-মাকে দেওয়া বাড়িভাড়া

আপনি যদি আপনার বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকেন এবং এর জন্য ভাড়া দিতে হয়, তবে আপনি এতে কর ছাড়ের সুবিধা নিতে পারেন। আপনি ধারা ১০ (১৩এ) ধারার অধীনে এই সুবিধাটি পেতে পারেন। এর অধীনে, আপনি বেসিক বেতনের ৫০ শতাংশ বা আপনার বেতনের ১০ শতাংশ, এর মধ্যে যেটি কম, তা আপনার ভাড়া হিসাবে দাবি করতে পারেন।

পিতামাতার চিকিৎসার জন্য ব্যয়ে ছাড়

বয়স বাড়লে যেমন রোগের প্রকোপ বেশি, তেমনই চিকিৎসার খরচও বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে সন্তান যদি পিতা-মাতার চিকিৎসার খরচ বহন করেন, তিনি কর ছাড় পেতে পারেন। আয়কর আইনের ৮০ডি ধারায় এই ছাড় পাওয়া যাবে। এর আওতায় আপনি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দাবি করতে পারবেন।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.