বাংলাবিজ ডেস্ক: পতনের ইঙ্গিত মিলেছিল সকাল সকাল। তবে সেটা যে ভয়াবহ ধসের আকার নেবে, তা প্রমাণিত হল বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই।
বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় বিএসই সেনসেক্স ছিল ৫১,০৩৯.৩১ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনের শুরুতেই তা ৭৮৩ পয়েন্ট নীচে নেমে যাত্রা শুরু করে। সেই পতনের বহর চরম আকার নেয় বেলা দেড়টা নাগাদ। তবে আরও কিছু অপেক্ষা করে ছিল এ দিন বাজার বন্ধ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে পর্যন্ত। ২,১৪৮ পয়েন্ট নেমে সেনসেক্স তখন ধুঁকছে ৪৯ হাজারের নীচে। শেষমেশ ৪৯,০৯৯ পয়েন্টে বন্ধ হলেও এ দিনের রক্তক্ষরণ বিনিয়োগকারীদের কয়েক লক্ষ কোটি টাকা লোকসানের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল।
একই পরণতির শিকার হতে হল নিফটি ফিফটিকেও। বৃহস্পতিবার শেষ করেছিল ১৫ হাজারের উপর। এ দিন খোলার মুখে গিয়ে পড়ল ১৪,৮৮৮ পয়েন্টে। তার ক্রমশ ডুবে যাওয়া। এক সময় তো ১৪,৪৬৪-এ নেমে গেল। তার কোনো রকমে ১৪,৫২৯ পয়েন্ট এ সপ্তাহের মতো ইতি টানল নিফটি। একই রকমের ধ্বস নেমেছে নিফটি ব্যাঙ্কেও।
কী কারণে রক্তক্ষরণ
মূলত দু’টি কারণকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে এ দিনের বিপর্যয়ে। ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের ডিজিপি তথ্য প্রকাশকে কেন্দ্র করে পূর্বাভাস এবং আশঙ্কা। অন্যটি বিশ্ববাজার। বিশ্বব্যাপী বন্ডের ফলন বৃদ্ধির ফলেইক্যুইটিতে বিক্রিতে ধাক্কা লেগেছে।
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে তীব্র মন্দার চাপ নিতে পারেনি ভারতের শেয়ার বাজার। আগের দিন আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিটে পতন ঘটেছে শেয়ার সূচকের। এ দিকে শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার পরেই জিডিপি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করার বিষয়টি ছিল আগাম নির্ধারিত। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থা মুডিজ সুখবর শোনালেও দোলাচলে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
কমেছে সোনার দাম
শুক্রবার গোল্ড ফিউচারে পতন ঘটেছে ০.৩৫ শতাংশ। ১০ গ্রাম সোনার দাম কমে হয়েছে ৪৬,০৮০ টাকা। চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে ফিউচারের দাম রীতিমতো রুটিন মাফিক কমছে শেষ কয়েক দিন ধরে। অন্য দিকে আন্তর্জাতিক বাজারেও আরও দুরবস্থা। নিউ ইয়র্কে ০.৯১ শতাংশ কমে সোনার দাম এখন প্রতি আউন্সে ১,৭৫৯.৩০ ডলার।