বাংলাbiz ডেস্ক: বিশাল অঙ্কের মূলধন ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। আগামী দু’ বছর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বাইরে থেকে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধন জোগাড় করতে হবে। এবং এই টাকাটার জন্য মূলত সরকারি সাহায্যের উপরেই নির্ভর করতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মূলধন ঘাটতি নিয়ে নতুন একটি রিপোর্ট পেশ করল মুডি’জ ইনভেস্টরস সার্ভিস। শুক্রবার নতুন ওই রিপোর্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের (Coronavirus outbreak) কারণে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার খুবই শ্লথ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির (PSB) সম্পদের মানে আঘাত পড়বে এবং ঋণবাবদ ব্যয় বাড়বে।
আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ (Moody’s)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র ক্রেডিট অফিসার আলকা আনবারাসু জানিয়েছেন, “আমরা ধারণা করছি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ইতিমধ্যেই মূলধন ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের লোকসান কাটিয়ে উঠতে আগামী দু’ বছরে ১.৯ থেকে ২.১ লক্ষ কোটি টাকার বহিরাগত মূলধনের প্রয়োজন হবে।”
অর্থনীতিতে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম পর্বে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে। মাত্র কয়েক মাস আগে সেই প্যাকেজ সম্ভাবনা জোগালেও নতুন করে বড়ো অঙ্কের মূলধন ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।
আনবারাসু আরও বলেন, “রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বৃহত্তর অংশ দখল করে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে কোনো ব্যর্থতা আর্থিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে পারে।” এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারি পদক্ষেপের প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব দ্রুত বিক্রি করতে চায় কেন্দ্র
এর আগে মুডি’জ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ দু’দশক পরে এই প্রথম ভারতকে ধার দেওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। বিদেশি মু্দ্রায় এবং ভারতীয় মুদ্রায় ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি সরকারি বন্ডের রেটিং কমিয়েছে সংস্থাটি।
এ বার আশঙ্কা করা হয়ছে, খুচরো এবং ক্ষুদ্র-ছোটো-মাঝারি উদ্যোগে (MSME) ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যা এই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির বর্তমান অগ্রগতিমূলক পদ্ধতিতে প্রভাব ফেলবে।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে একমাত্র বাইরে থেকে মূলধনের জোগান। তা না হলে সংকট আরও বাড়তে পারে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা মুডি’জ অর্থনীতির অবস্থা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিশ্লেষণের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে রেটিং করে থাকে।