আর্থিক সংকট বা জরুরি টাকার প্রয়োজনে ঋণ নেওয়া অনেক সময় স্বাভাবিক। তবে ধার নেওয়ার সময় মনে রাখা জরুরি যে, ঋণের পরিমাণ যেন এমন না হয় যা ফেরত দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
কতটা বেশি ধার ঝুঁকিপূর্ণ?
বর্তমানে অসংখ্য ব্যাংক, এনবিএফসি এবং ফিনটেক সংস্থা সহজে পার্সোনাল লোন দিচ্ছে, যদিও উচ্চ সুদের হারে। কিন্তু যত সহজেই পাওয়া যায়, ততটাই সাবধানে ধার নেওয়া উচিত। সাধারণভাবে, মাসিক আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি ইএমআই হওয়া উচিত নয়, এটা ৪০ শতাংশের নিচে থাকাই ভালো।
ঋণ নেওয়ার আগে যেসব বিষয় বিবেচনা করা জরুরি:
১. ঋণের জরুরিতা
ঋণটি কতটা প্রয়োজনীয়? এটি কি কোনো জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে, না কি শুধুমাত্র ভ্রমণ বা বিলাসের জন্য? যদি জরুরি হয়, তবে নেওয়া যেতে পারে। তবে বিলাসবহুল খরচের জন্য ধার না নেওয়াই ভালো।
২. সুদের হার
ইএমআই কত হবে, তা নির্ভর করে ঋণের পরিমাণ ও সুদের হারের উপর। ঋণের অঙ্ক কম হলেও যদি সুদের হার বেশি হয়, তবুও ইএমআই অনেকটা হতে পারে। তাই উচ্চ সুদের হারে ঋণ নেওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।
৩. বর্তমান আয়
ঋণের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বর্তমান আয়ের ভিত্তিতে, ভবিষ্যতে আয় বাড়বে এমন প্রত্যাশায় নয়। যদি বর্তমান আয় থেকেই ঋণ শোধ করা সম্ভব হয়, তবে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতের সম্ভাবনার উপর নির্ভর করে ঋণ নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
সবমিলিয়ে, পার্সোনাল লোন নেওয়ার সময় হিসেব করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ধার এমনভাবে নিতে হবে যাতে আর্থিক চাপ না বাড়ে এবং সময়মতো সহজেই ঋণ পরিশোধ করা যায।