বিবি ডেস্ক : শুক্রবার পুণেতে ব্যবসায়ী, উদ্যোগপতি এবং কস্ট অ্যাকাউন্টদের সঙ্গে একটি আলোচনাসভায় মেজাজ হারালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অনুষ্ঠানে এক অংশগ্রহণকারী তাকে জিএসটি নিয়ে প্রশ্ন করেন। মাঝপথে তাঁকে থামিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী।
সংবাদসংস্থা এনআই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেই ভিডিওয়ে দেখা যাচ্ছে পুণের কস্ট অ্যাকাউটেন্ট সংস্থার এক প্রতিনিধি অর্থমন্ত্রীকে জিএসটি নিয়ে প্রশ্ন করছেন। বাক্য শেষ করার আগেই তিনি ওই ব্যক্তিকে থামিয়ে দিচ্ছেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে ওই বক্তা বলেন, জিএসটি-র যে ক্ষেত্রগুলিতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে এমন পাঁচটি বিষয় নিয়ে তাঁর পরামর্শ রয়েছে। কিন্তু সেই সমস্যাগুলি নিয়ে আধিকারিকরাও কথা বলেন না, অর্থমন্ত্রীও পরামর্শগুলি নেন না। তিনি বলেন এর ফলে প্রতিটি স্টেকহোল্ডার সরকারকে দোষারোপ করছে।
এই সময় অর্থমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে দেন। তিনি বলেন, দিল্লিতে তাঁরা পাঁচজন হোক পঞ্চাশ জন হোক, প্রতিনিধি নিয়ে আসুন তাঁদের সব কথা শুনবেন।
এরপর অর্থমন্ত্রী বলেন, জিএসটি সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া যাবে না। কারণ এটা দেশের ‘আইন’। এই আইন সংসদে পাশ হয়েছে। দেশের প্রতিটি বিধানসভায় জিএসটি পাশ হয়েছে।
গাড়ি বিক্রি তলানিতে
কেন মেজাজ হারাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী? ক্রমশ নামতে থাকা অর্থনীতিকে সামলাতে কার্যত জেরবার তিনি। ইতিমধ্যে অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। কর্পোরেট কর কমিয়েছেন। বারবার সাংবাদিক বৈঠক করে আশ্বাস দিয়েছেন খুব শীঘ্রই আবারও উঠে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি।
শুক্রবার সেপ্টেম্বর মাসের গাড়ি বিক্রির তথ্য প্রকাশ করেছে সোসাইটি অফ অটোমোবাইল মেনুফ্যাকচারার্স। তাতে দেখা যাচ্ছে ওই মাসে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি কমেছে ২৩.৬৯ শতাংশ, বাণিজিক গাড়ির বিক্রি কমেছে ৬২.১১ শতাংশ। বিক্রি কমেছে বাইকেরও।
ফলে কবে যে আবার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে তার ইঙ্গিত চোখে পড়ছে না। তাই কি মেজাজ হারাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ?
জিএসটি আদায় বাড়তে পথ খুঁজছে সরকার
কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে সরকারের আয় কমেছে। আয় বাড়াতে সরকারের ভরসা এখন জিএসটি। রাজস্ব ঘাটতি সমাল দিতে জিএসটি-কে আদায়ের প্রক্রিয়াকে চাঙ্গা করতে চায়। এর রাস্তা খুঁজতে শুক্রবার বৈঠকে বসে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। তারা আলোচনা করেন কোন প্রক্রিয়ায় জিএসটি পদ্ধতিকে আরও সক্রিয় এবং করদাতাদের কাছে জটিলতা মুক্ত করা যায়।
এই নিয়ে পর্যালোচনার জন্য জিএসটি কাউন্সিল কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের নিয়ে একটি ১২ সদস্যের প্যানেল তৈরি করেছে। এই প্যানেল জটিলতা কমিয়ে কর আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো এবং কর ফাঁকি রোধের পদ্ধতি নিয়ে পর্যালোচনা করবে। তবে তার কর বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারবে না।
এক আধিকারিক জানিয়েছে,‘‘ এই প্যানেল কর বাড়ানোর বিষয় ছাড়া জিএসটি সংক্রান্ত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখবে।’’