আপনার মোবাইল ফোনে যদি ব্যাঙ্কের বিবরণ সেভ করা থাকে, তা হলে তাড়াতাড়ি মুছুন, অ্যাকাউন্টটি ফাঁকা হয়ে যেতে পারে

online banking

এমনকী পাসওয়ার্ড, পিন বা অন্যান্য বিবরণের ছবিও মোবাইলে তুলবেন না। বিপদে পড়তে পারেন…

বিবি ডেস্ক: স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া নিজের ৪৪ কোটি গ্রাহকের উদ্দেশে একটি সতর্কতা জারি করেছে। বলে হয়েছে, ব্যাঙ্কের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিবরণ তাঁরা যেন মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ না করেন। এটা করলে গ্রাহকরা বিপাকে পড়তে পারেন। এমনকী তাঁদের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

পাসওয়ার্ড, পিন বা অন্যান্য বিবরণের ছবি মোবাইলে তুলবেন না

স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বা এসবিআই (SBI) দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। ভারত-সহ সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান অনলাইন জালিয়াতির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন দেশের বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক নিজের গ্রাহকদের সজাগ করেছে। এসবিআই নিজের গ্রাহকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কেউ যদি মোবাইল ফোনে পিন নম্বর, এটিএম বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর, সিভিভি বা ওটিপির মতো ব্যাঙ্কিংয়ের তথ্য সংরক্ষণ করে থাকেন, তবে তা তাৎক্ষণিক ভাবে সরিয়ে ফেলুন।

গ্রাহকদের সতর্ক করে এসবিআই ওয়েবসাইটের একটি বার্তায় বলা হয়েছে, অনলাইন জালিয়াতির ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলি বিবেচনায় রেখে সাধারণ মানুষকে আরও সজাগ থাকতে হবে।

অনেকেরই এমন অভ্যেস রয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড বা পিন নম্বরের ছবি তুলে সেগুলি মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখার। তথ্য ফাঁস হওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের কাজ অনুঘটকের কাজ করতে পারে। গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে সাইবার অপরাধীরা।

নেট ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য পাবলিক ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না

এসবিআই নিজের গ্রাহকদের উদ্দেশে বলেছে, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য পাবলিক ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না। এই ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করলে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এগুলি ছাড়াও নিজের এটিএম কার্ড কারও হাতে দেওয়া উচিত নয়। এ ভাবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

আরও পড়তে পারেন: SMS-এ আসা OTP থেকে সাবধান! ফাঁকা হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.