চাকরি বদলেছেন? আপনার পিএফ ব্যালেন্স অনলাইনে স্থানান্তর করার জন্য এই বিষয়গুলি জেনে নিন

চাকরি পরিবর্তনের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তার মধ্যে একটি হল এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) ব্যালেন্স স্থানান্তর করা। ইপিএফ ব্যালেন্স স্থানান্তর না করলে অ্যাকাউন্ট কয়েক বছরের মধ্যে নিষ্ক্রিয় (ডরম্যান্ট) হয়ে যেতে পারে এবং সুদ জমা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যে কারণে ব্যালেন্সের উপর অব্যাহত সুদ পাওয়ার জন্য অনলাইনে ইপিএফ ব্যালেন্স স্থানান্তরের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন।

অনলাইনে ইপিএফ স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

ইপিএফও (EPFO)-এর তথ্য অনুযায়ী, স্থানান্তরের আগে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত করুন:

  1. ইউএএন (ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর) অ্যাক্টিভেট করা আছে:
  2. সক্রিয় মোবাইল নম্বর:
    • আপনার ইউএএন-এর সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর সক্রিয় থাকতে হবে, কারণ ওটিপি যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হবে।
  3. আধার ও ব্যাংকের বিবরণ:
    • আপনার ইউএএন-এর সঙ্গে আধার নম্বর এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সঠিকভাবে লিঙ্ক করা থাকতে হবে।
  4. চাকরি ছাড়ার তারিখ (Date of Exit):
    • আপনার আগের চাকরি ছাড়ার তারিখ আপডেট করতে হবে। এটি স্থানান্তরের জন্য বাধ্যতামূলক।
    • মনে রাখুন: চাকরি ছাড়ার দুই মাস পরে এগ্জিট ডেট আপডেট করা যাবে এবং এটি সেই মাসের মধ্যে হতে হবে, যখন শেষ কন্ট্রিবিউশন জমা হয়েছে।
  5. ই-কেওয়াইসি অনুমোদন:
    • নিশ্চিত করুন যে আপনার নিয়োগকর্তা ই-কেওয়াইসি অনুমোদন করেছেন।
  6. একক স্থানান্তর অনুরোধ:
    • পূর্ববর্তী সদস্য আইডি থেকে শুধুমাত্র একবার স্থানান্তর অনুরোধ করা যাবে।
  7. ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই:
    • অনলাইনে আবেদন করার আগে “মেম্বার প্রোফাইল” বিভাগে ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করুন এবং নিশ্চিত করুন।

তারিখ আপডেট করার পদ্ধতি

  • চাকরি ছাড়ার দুই মাস পর ইপিএফও পোর্টালে এগ্জিট ডেট আপডেট করতে হবে। ইপিএফও-র এফএকিউ-তে বিস্তারিত পদ্ধতি উল্লেখ রয়েছে।

সময়ের মধ্যে স্থানান্তরের সুবিধা

  • অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
  • আপনার ব্যালান্সের উপর অবিচ্ছিন্ন সুদ জমা হবে।
  • বিভিন্ন চাকরির ইপিএফ ব্যালান্স একত্রিত করা সহজ হবে, যা ভবিষ্যতে উত্তোলন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে।

সময়ের মধ্যে ইপিএফ স্থানান্তর নিশ্চিত করলে আপনি আপনার আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে তুলতে পারবেন এবং জমাকৃত সুবিধাগুলি সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.