আইটিআর ফাইল করা ছাড়া ফর্ম-১৬ কোথায় কোথায় কাজে লাগে, জেনে নিন

আইটিআর (আয়কর রিটার্ন) ফাইল করার জন্য করদাতাদের এখন দুটি বিকল্প রয়েছে—পুরনো কর ব্যবস্থা (Old Tax Regime) ও নতুন কর ব্যবস্থা (New Tax Regime)। এই দুই ব্যবস্থার যেটিই ব্যবহার করুন না কেন, ফর্ম-১৬ থাকা বাধ্যতামূলক।

তবে, এই ফর্ম শুধু ট্যাক্স জমা দেওয়ার সময় নয়, আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে। করদাতাদের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আইটিআর ফাইল করতে হবে, নইলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে।

১. ভিসা অ্যাপ্লিকেশনে ফর্ম-১৬:

যদি আপনি বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন এবং ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে ফর্ম-১৬ খুবই উপকারী। কারণ, ভিসার আবেদনপত্রে আপনাকে আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ দিতে হয়। ফর্ম-১৬ এখানে ইনকাম প্রুফ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, পে-স্লিপও ইনকাম প্রুফ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

২. লোন নেওয়ার সময়:

যদি আপনি কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লোন নিতে চান, তাহলে ইনকাম প্রুফ দেখাতে হবে। অনেক সময় পে-স্লিপ বা অন্য কোনও দলিল না থাকলে ফর্ম-১৬ ইনকাম প্রুফ হিসেবে দেখানো যায়।

৩. ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময়:

ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করলে কোম্পানিগুলি আপনার ইনকাম প্রুফ চায়। কারণ, মাসে মাসে কার্ডের বিল মেটানোর জন্য একটি স্থায়ী আয়ের উৎস থাকা দরকার। সেখানে ফর্ম-১৬ ইনকাম প্রুফ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য।

৪. চাকরি পরিবর্তনের সময়:

চাকরি পরিবর্তন করলে নতুন কোম্পানি আপনার পুরনো আয় ও টিডিএস-এর বিশদ জানতে চায়। এই সময় ফর্ম-১৬ খুবই কার্যকর হয়, বিশেষ করে যখন পর্যাপ্ত পে-স্লিপ আপনার কাছে না থাকে।

সবমিলিয়ে ফর্ম-১৬ শুধুমাত্র কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য নয়, এটি ভিসা, লোন, ক্রেডিট কার্ড, ও চাকরি পরিবর্তনের সময়ও জরুরি দলিল হিসেবে কাজ করে। তাই এটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.